বৌদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করো (Buddhist Education System in Bengali)
বৌদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করো (Buddhist Education System in Bengali)
বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থার মুখ্য বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে।
বৌদ্ধ বা বুদ্ধিস্ট শিক্ষা ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য কি ছিল? এই শিক্ষাব্যবস্থার বিবরন দাও ?
উত্তর:
প্রাচীন ভারতে বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষার প্রক্রিয়া:
এশিয়ার শিক্ষা হলো আত্মাকে আলোকিত করার একটি হাতিয়ার এবং প্রাচীন ভারতে ছাএরা তাদের জীবনকে বোঝার জন্য শিক্ষার জন্য গিয়েছিল। শিক্ষা অর্জনের জন্য কোনো পার্থিব চাহিদা ছিল না, কেবল অভ্যনতরীণ বিকাশের জন্য। এটি বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থার জন্য সত্য ছিল। এই শিক্ষাব্যবস্থার লক্ষ্য ছিল একজন মানুষের সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্বের উৎকর্ষ সাধন করা। নৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং আধ্যাত্মিক ছিল বৌদির শিক্ষার তিনটি প্রধান অনুষদ শিক্ষা সম্পর্কে এর ধারনা সবাই মূল্যবোধ ভিত্তিক বৌদির শিক্ষা সর্বঘতরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত ছিল, ভারত ও বাংলাদেশের অনেক মঠে যা ৪ প্রচলিত ছিল তাতে বৌদী শিক্ষার ইতিহাস খুবই উজ্জল ছিল। যেমন: নালন্দা বিহার, আনন্দ বিহার,সোমপুর বিহার, তক্ষশীলা ও শালবন বিহার ইত্যাদি।
বৌদ্ধ শিক্ষা কী?
সাধারণত বৌদ্ধ শিক্ষা মানে অধ্যয়ন বা শিক্ষা গ্রহণ। ভগবান বৌদ্ধ তার আলোকিত শিষ্যদের শিক্ষা এবং বেদির ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটকের অর্থ হল বিন্যা পিটক, সুত্ত পিটক, অভিধম্ম পিটক।
বৌদ্ধ শিক্ষার মূল বিষয়বস্তুঃ
বুদ্ধের শিক্ষার তিনটি প্রধান কেন্দ্রবিন্দু রয়েছে, যেমন: শৃঙ্খলা, ধ্যান এবং প্রজ্ঞা। এই বিষয়গুলোর মাধ্যমে কেউ জ্ঞান অর্জন করতে এবং পদ্ধতিগুলি বজায় রেখে শৃঙ্খলা রক্ষা করা যেতে পারে। শৃঙ্খলা বজায় রাখা গভীর জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে ধ্যান এবং গভীর ধ্যানের মাধ্যমে উপলব্ধি স্বাভাবিকভাবেই আগে। উপলব্ধি হল প্রজ্ঞা।
বৌদ্ধ শিক্ষার লক্ষ্যঃ
বুদ্ধের শিক্ষার লক্ষ্য জ্ঞান অর্জন করা । বুদ্ধের সঠিক শিক্ষ্যা ব্যবস্থার মাধ্যমে একজন নিখুঁত চূড়ান্ত লাভ করতে পারে। শাক্যমুনি একজন বুদ্ধি শিখিয়েছিলেন যে তাদের অনুশীলন বা পাঠের প্রধান উদ্দেশ্য কি ছিল এটি অর্জন করা চূড়ান্ত জ্ঞান। চূড়ান্ত জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষক বা গুরুর কাছে যেতে হয়, বিহারগুলি সেই স্থানগুলি যেখানে এই শিক্ষাব্যবস্থা চর্চা করা হত।
এগুলোর কোনো স্বাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কেন্দ্র ছিল না। শুধু ভিক্ষুক ও এমন ছিলেন জনগণকে শিক্ষা দেওয়া জন্য অনুমোদিত। তাই এসব মঠ ও বিহারে পদবীতি ছিল সেই সময়ের প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি। মধ্যে ভর্তি হয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়াকে প্রব্রজ বলো হয়। প্রব্রজ ছেলেরা
তাদের পরিবারের বাইরে গিয়ে মঠে যোগ দেয়। সংঘের সদস্য হতে পারে যাকে সন্নাসী বলা হয়। সন্ত্রাসী থাকতেন এর একজন ।
এই সন্ন্যাসী হওয়ার কারণে তাদের পূর্বে সমস্ত জাত, জীবনযাপন, খাদ্য, পোশাক এবং চরিত্র ইত্যাদি ভূলে যেতে হয়েছিল। ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তবে বাসতবতা ছিল 'কেবল উচ্চ শ্রেণীর লোকেরাই প্রবেশ করতে পারত কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল।
ভর্তির বিধিনিষেধ:-
উচ্চ শ্রেণীর ছেলে হওয়ায় যোগ্যতা ও শর্ত ছিল। ভর্তির শর্ত যথেষ্ট ছিল না করলে একজন সেখানে ভর্তির প্রার্থী ভর্তি - হতে পারবেন :
১.ছেলেদের অবশ্যই পরিবারের অনুমতি থাকতে হবে ।
২.কোনো গুরুতর রোগ বা অসুখে ভুগছে না।
৩.কোনো বড় রকম অপরাধ করেনি।
৫.পরিশ্রম করতে আগ্রহী আছে কিনা,
৬.অধ্যবসায়ী এবং উদার মনের হতে হবে ।
ছাত্র সন্ত্রাসীর জন্য নিয়ম:-
হলুদ রঙের পোশাক পড়তে দেওয়া হত এরপর প্রতি ছাএরা পরিবারে এসে চিৎকার করে বলত আমি মহামতি গৌতম বৌদ্ধের আশ্রমে যাচ্ছি।
ভর্তির হওয়ার পর থেকে ছাত্রদের ১০ টি কাজ করা নিষেধ ছিল। যথা:-
১.জীব হত্যা করতে পারবে না।
২. কারো কাছ থেকে কিছু নিতে পারবে না।
৩. চরিত্র গঠন করতে হবে।
৪.মিথ্যা বলা যাবে না।
৫. অসময়ে আহার করা যাবে না,
৬. মাদকদ্রব্য সেবন নিবিষ্টদনগীবত করা যাবে না ।
৭. গান, বাজনা, নাচ নিষেধ,
৮. বিলাসবহুল জিনিস ব্যবহার নিষেধ,
৯.পারফিউম ব্যবহার নিষেধ,
১০.কোনো সোনা বা বাতুর জিনিস ব্যবহার করতে পারবে না।
শিক্ষাব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যঃ
প্রাচীন ভারতে হিন্দু জীবনদর্শনের ভিত্তিতে যেমন ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাব্যবসথা গড়ে উঠেছিল, তেমনি বৌদধ জীবনদর্শনের ভিত্তিতে বৌদধ শিক্ষাব্যবথা গড়ে উঠেছিল। উঠেছিল।বৌদধ শিক্ষাব্যবস্থা সার্বজনীন হওয়ায় শুধু ভারতে নয়, ভারতের বাইরের বহু দেশের মানুষের কাছে তা গ্রহনযোগ্য হয়ে ওঠেছিল।
বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করা হলো:-
শিক্ষার লক্ষ্য:- বৌদধ শিক্ষার মূল লক্ষ্য ছিল জাগতিক সব ধরনের বলবনের অবসান ঘটিয়ে পরিনির্বাণ লাভ করো। এই শিক্ষার মূল ল জীবন ও থেকে মুজিলাভ করা। ভিযুধ) আদা হল নৈতিকতা, বর্ণানহীন বিহার জীবনের শৃঙ্খলা ও সেবাধর্মকেই প্রকৃত শিক্ষা বলে মনে করা হয়৷
শিক্ষা শুরু অনুষ্ঠানঃ বৌদধ শিক্ষা শুরু হত "প্রব্রজ্যা " নামক এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। বৈদিক ধর্মে জাতবিচার ছিল না। তাই যেকোনো ধর্মের মানুষই প্রব্রজ্যা গ্রহণ করতে পারত। তবে ৮ বছর এর চেয়ে কম বয়সে এক পিতা মাতার অনুমতি ছাড়া প্রব্রজ্যা গ্রহণ এবং ভিঞ্চ বিহারে প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু বেদির শিক্ষার্থী উপাধ্যায়ের কাছে এসে বিনয়ের সঙ্গে তাকে আধ্যাত্মিক জীবনের পথ দেখানোর জন্য অনুরোধ করত, এবং ভিক্ষু মন্ত্র আবৃত্তি করত। এরপর উপাধ্যায় তাকে বিহারের প্রবেশের অনুমতি দিতেন।
শিক্ষার পাঠক্রমঃ- সূত্র বেশিই বিহারে ভিক্ষুদের অবশ্যপাঠ্য ছিল , ধর্ম ও বিনয়। এ ছাড়া ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাক্রমের কিছু কিছু বিষয় ও পাঠক্রমের সঙ্গে ঐতিহাসিক পুরান, সংযোজিত হতো। যেমন: বেদ , ছন্দ, ধ্বনি, "কাব্য, ব্যাকরণ, জ্যোতির্বিদা ইত্যাদিও শিক্ষা পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
শিক্ষা গুরু-শিষ্য সম্পর্ক :-
বিহারগুলিতে ২ ধরনের গুরু শিক্ষাদান করতেন। উপাধ্যায়রা ধর্মতত্ত্ব বিষয় আলোচনা করতেন এবং আচার্য বা কর্মাচার্যরা নৈতিক জীবনের বিষয়ে পাঠদান করতেন। শিষ্যরা গুরুসেবাই নিয়োজিত ছিলেন। গুরু-শিষ্যের সর্ম্পক ছিল মধুর, উভয়ই পরস্পরের প্রতি কর্ম্ম পালন করত।
শিক্ষাদান পতিঃ- বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবসথায় ১ম পর্যায়ে শিক্ষাপদধতি ছিল মূলত ত আবৃত্তিমূলক। তাছাড়া গল্পের মাধ্যমেশিক্ষাদানের ব্যবস্থা ছিল। পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা,সমালোচনা, বিতর্কসভা ইত্যাদির ও ব্যবস্থা করা হত।
শিক্ষার সার্বজনীনতাঃ-বৌদ্ধ-বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল শিক্ষার সার্বজনীনতা। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব ধরনের মানুষই উপযুক্ত মেধা থাকলে বেদিন শিক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারত। তবে রোগাক্রান্ত ও অপরাধী ব্যাক্তিদের বেদিও বিহারে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতনা।
নিয়মানুবর্তিতা ও শিক্ষাদান শৃঙ্খলাঃ বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থায় বিহারবাসী ভিক্ষুদের সংঘ বা বিহারের নিয়মকানুন কাঠোর ভাবে মেনে চলতে হত। প্রতিটি ভিক্ষূকে দশটি শীল এবং অষ্টামিক মাস অনুসরণ করতে হত। কোনো ভিখু অপরাধমূলক কাজ করলে দশজন ভিস্যু মিলে অপরাধীর দন্তবিধান করতেন। অপরাধের প্রকৃতি অনুযায়ী প্রায়শ্চিত করতে হত।
মূল্যায়ন ও উপাধি দানঃ বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থায় ভিন্ন জীবনে ১২ বছরব্যাপী আবাসিক শিক্ষা গ্রহণের পর " উপসমপদা” নামক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার সমাপ্তি ঘোষণা করা হত। ভিক্ষুকে সভাখলে নানানভাবে পরীক্ষা করার পর তার যোগ্যতা সর্ম্পকে সন্তষ্ট হলে সভার অভিমত নিয়েই তাকে স্নাতক হিসেবে শেষণা করা হত।
উপসম্পদা হিসেবে দশ বছর কাটানোর পর উপযুক্ত বলে বিবেচিত হলে তাকে উপাধ্যায় স্তরে উন্নীত করা হত।শিক্ষাদানের ব্যবস্থা ছিল। পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা, ব্যাথা, সমালোচনা, বিতর্কসভা ইত্যাদির ও ব্যবস্থা করা হত।
বিহার বা সংঘভিত্তিক শিক্ষা :-
বিহার বা সংঘকে কেন্দ্র করেই বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থা প্রসার লাভ করেছিল। প্রকৃতপক্ষে বিহার বা সংঘই ছিল বেদিও শিক্ষার প্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীরা আবাসিক জীবনযাপন করত।
বৃত্তি ও নারী শিক্ষাঃ- প্রয়োজন মেটানোর জন্য বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থায় নিজেদের তাগিদে সুতা কাটা -, কাপড় বোনা, দর্জির কাজ প্রভৃতি কতবাগুলি বৃত্তিকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল। প্রথমদিকে নারী শিক্ষার অধিকার না থাকলেও মাতা গৌতমী ও শিষ্য আনন্দের আহবানে বুদধদের নারীদেরও নিয়মনিষ্ঠা মেনে সংতে প্রবেশের অনুমতি দেন। ফলে নারী শিক্ষার প্রসার ঘটতে শুরু হয়।
বৌদধ শিক্ষার গুরুত্ব:
1) বৌদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতি ধর্ম নির্বিশেষে যে সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তার গুরুত্বকে বর্তমানেও অস্বীকার করার কোন উপায় নেই ৷
2) শিক্ষা ক্ষেত্রে জাতি,ধর্ম ও বর্ণের ভেদ ছিল না। শিক্ষার ক্ষেত্রে সকলেই সমান সূযোগ সুবিধা পেত। বর্তমান শতাব্দিতেও তাকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
3) বৌদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থাকে জনসাধারণের বোধগম্য করে গড়ে তোলার জন্য আঞ্চলিক ভাষার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল। বর্তমানেও শিক্ষার ক্ষেত্রে এই নীতিটিকেই প্রধান্য দেওয়া হয়।
4) শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রাঞ্জল করে তোলার জন্য বিভিন্ন দৃষ্টান্ত, বিতর্ক ও গল্পের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়ার প্রচেষ্টা করা হত। ফলে শিক্ষার্থীর সেই শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি বিরাগ জন্মাতো না। শিক্ষকদের যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হত শতাব্দিতেও সেই রীতি প্রচলিত আছে।
উপসংসহার :
বৌদ্ধ শিক্ষার পূর্বে ভারতে ব্রাহ্মণ্য শিক্ষা ছিল সমাজের উচ্চশেণীর মুষ্ঠিমেয় মানুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ফলে সমাজের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষরাই এই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিল। তা ছাড়া এই শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল আচার আচরণ সর্বস্ব ও কঠোর। ফলে এই শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি জনগণের কোন আস্থাই ছিল না। বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থা ব্রাহ্মণ্য শিক্ষা ব্যবস্থার এই ত্রুটি বিচ্যুতি দূর করে তাকে সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল করে তাকে সর্বজনীন করতে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। বর্তমানে শিক্ষা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যে অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছে তার ভিত্তি বৌদ্ধ যুগেই রচনা করা হয়ে ছিল বললে সত্যের অপলাপ হয় না।
#বৌদ্ধশিক্ষাব্যবস্থা #BuddhistEducationSystem inBengali#বৌদ্ধশিক্ষাব্যবস্থারমূললক্ষ্য
★★বুদ্ধের মতে শিক্ষার কেন্দ্রীয় লক্ষ্য কি
?
শিক্ষার লক্ষ্য ছিল একটি সুন্দর জীবন, একটি নৈতিক জীবনের জন্য প্রস্তুত করা । পুরো শৃঙ্খলার (শিক্ষা) তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল যেমন, নৈতিকতা চিন্তা এবং প্রজ্ঞা। বৌদ্ধ নৈতিকতায়, তাত্ত্বিক জ্ঞানের সাথে ব্যবহারিক প্রয়োজনের সংমিশ্রণ ছিল এবং পার্থিব জীবনের বিরুদ্ধে তপস্বী জীবনের উপর চাপ ছিল।
★★বৌদ্ধ শিক্ষায় পাব্বাজ শব্দের অর্থ কি?
পাব্বাজ্জা (পালি; স্কট.: প্রভ্রজ্য) এর আক্ষরিক অর্থ " আগমন করা " এবং বোঝায় যখন একজন সাধারণ মানুষ ভিক্ষুদের (সম্পূর্ণ নিযুক্ত ভিক্ষু) সম্প্রদায়ের মধ্যে বৌদ্ধ ত্যাগী জীবনযাপন করার জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এটি সাধারণত একজন নবাগত হিসাবে প্রাথমিক সমন্বয় জড়িত।
পোস্ট ট্যাগ:
বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থার মুখ্য বৈশিষ্ট্য,বৌদ্ধ বা বুদ্ধিস্ট শিক্ষা ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য কি,বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থার বিবরন,বুদ্ধের মতে শিক্ষার কেন্দ্রীয় লক্ষ্য।
No comments
Do leave your comments