পাবনা জেলার ইতিহাস - History of Pabna District
পাবনা জেলার ইতিহাস : History of Pabna District
পাবনা জেলা রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভূক্ত। পাবনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮২৮ সালে । ইতিহাসবিদদের মতে পদম্বুা শব্দটি থেকে পাবনা শহরের নামকরণ করা হয়েছে। পাবনা জেলার মোট আয়তন ২৩৭১.৫০ বর্গকির্গ লোমিটার ২০১১ সালের আদশুমারি অনযা ু য়ী পাবনা জেলার জনসংখ্যা ২৮ লাখ ৬০ হাজার। ৯ টি উপজেলা নিয়ে পাবনা জেলা গঠিত। পাবনা জেলা শহর ইছামতি নদীর তীরে অবস্থিত। পাবনা জেলা ঘি, সন্দেশ, প্যারাডাইসের প্যারা মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। এছাড়া আরো রয়েছে বিখ্যাত তাঁতশিল্প। পাবনায় মসুলিমদের সংখ্যা বেশি থাকলেও এখানে হিন্দুধর্মাবল র্ম ম্বী পাশাপাশি বিভিন্ন উপজাতি যেমন চাকমা, গাঢ়, সাঁওতাল সহ বিভিন্ন জাতিশান্তি পূর্ন ভাবে বসবাস করছে।
পাবনা মানসিক হাসপাতাল ভৌগোলিক অবস্থান: ১৯৫৭ সালে পাবনা শহরে মানসিক হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৬০ সালে জেলা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দরেূ হেমায়েতপুরে বিশাল এলাকা ১১১.২৫ একরের চত্বরে হাসপাতালটি স্থানান্তরিত হয়।
বিখ্যাত হওয়ার কারণ: এটি দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র যা বাংলাদেশের পাবনা জেলাতে অবস্থিত। ৬০ সজ্জা থেকে এর ধারন ক্ষমতা হয়েছে ৫০০। তারমধ্যে পুরুষ ওয়ার্ড: ১৩, মহিলা: ৫টি। এছাড়াও হাসপাতালটির মধ্যে রোগীদের মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে ফুলের বাগান ও সিনেমা হলের। রয়েছে সরকার অনমু োদিত জনকল্যাণ সংস্থা। সংস্থাটি সুস্থ রোগীদের বাড়ি ফিরে দেয়ার দায়িত্ব নিয়ে থাকে। এছাড়াও এই হাসপাতালে থাকা অবস্থায় সক্ষম রোগীদের চাকুরী ও কাজের ব্যবস্থা করে থাকে এই সংস্থাটি।
যাতায়াত ব্যাবস্থা: দেশের যেকোনো স্থান থেকে বাসে বা ট্রেনে পাবনা শহরে এসে খুব সহজেই মাত্র ১৫/২০ টাকা রিক্সা বা অটো ভাড়ায় এই হাসপাতালে যাওয়া যায়। 3 সুচিত্রা সেনের বাড়ি ভৌগোলিক অবস্থান: পাবনা শহরের গোপালপুর এলাকায় রয়েছে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের বাড়ি যা এখন 'সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা' হিসেবে পরিচিত ।
চিত্র: সুচিত্রা সেনের বাড়ি
বিখ্যাত হওয়ার কারণ: এটি তার পৈত্রিক নিবাস, তিনি ছোটবেলা এখানেই কাটিয়েছেন। পাবনায় থাকাকালীন তার ডাক নাম ছিল "রমা সেন" এবং কলকাতায় গিয়ে সিনেমা জগতে পা দেওয়ার পর তার নাম হয়ে যায় সুচিত্রা সেন। ১৯৫০ সালে তারা সপরিবারে এখান থেকে কলকাতায় চলে যান এবং ফেলে যান তাদের মলূ্যবান স্মৃতি। সেইসব স্মৃতিচারণের জন্যই ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে এটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। "এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলোতো?"গানের এই ২ লাইন শোনেনি এমন বাঙালি হয়তো খুজেঁ ই পাওয়া যাবেনা। একসময়ের উত্তম-সুচিত্রা জটিু ছিলো পুরো দেশজড়েু বিখ্যাত। সেই মহানায়িকার বাড়ি ভ্রমণ করা আমাদের সবার জন্য গৌরবের বিষয়। সোমবার ছাড়া বাকি দিনগুলোতে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এটি দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। বাড়িতে প্রবেশের টিকেটমলূ্য মাত্র ১০ টাকা।
যাতায়াত ব্যাবস্থা: এটি পাবনা শহরের একদম প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত, শহর থেকে ৫ টাকা অটো ভাড়া দিয়ে পাবনা টেকনিক্যাল কলেজের সামনের গলিতে দ'ুপা এগোলেই দেখা যাবে সেই কিংবদন্তি মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক নিবাস।
অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি
ভৌগোলিক অবস্থান: এর অবস্থান একদম শহরের প্রাণকেন্দ্রে অর্থাৎ ইন্দ্রিরা মোড় থেকে ১ মিনিট হাটলেই অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির দেখা পাওয়া যাবে।
বিখ্যাত হওয়ার কারণ :১৮৯০ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এটি ৪ তলা ভবন যেখানে একসাথে ৩০০ শিক্ষার্থী বই পড়তে পারে। এখানে দেশিও সাহিত্যের বাইরেও আছে আরবি, ফারসি, হিন্দি, ইরানি সাহিত্যের বই। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও পত্রিকা। ইতিহাস প্রেমিকদের জন্য রয়েছে প্রায় ৩০০ বছর পুরনো হাতে লেখা পুথিঁ ও তালাপাতা-বাশপাতায় লেখা বিভিন্ন পান্ডুলিপি। মক্তিু যুদ্ধের গৌরবময় স্মৃতিকে জাগিয়ে রাখতেও এখানে রয়েছে মক্তিু যুদ্ধের বিভিন্ন নিদর্শন। এটি শত বছরেরও বেশি পুরনো তাই এখানে পেতে পারেন বিভিন্ন পুরনো বই, যা হয়তো এখন আর খুজঁ লে পাওয়া যায়না। তাই প্রত্যেক জ্ঞান পিপাসুর উচিত একবার হলেও এখান থেকে ঘুড়ে আসা। এছাড়া এর প্রবেশ পথ থেকে ঢুকেই দেখা যায় মাটির তৈরি চমৎকার নান্দনিক শিল্প যা শৈল্পিক মানষুদের মনকে অবশ্যই মগ্ধু করবে।
যাতায়াত ব্যাবস্থা: এর অবস্থান একদম শহরের প্রাণকেন্দ্রে তাই দেশের যেকোনো স্থান থেকে বাসে বা ট্রেনে পাবনা শহর এসে এই শহরের প্রাণকেন্দ্র ইন্দিরা মোড় থেকে ১ মিনিট হাটলেই এই লাইব্রেরি পাওয়া যায়।
তাড়াশ ভবন
ভৌগোলিক অবস্থান: পাবনার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পাবনার অন্যতম সুন্দর নিদর্শন হলো এই তাড়াশ ভবন। তবে শহরে এসে কাউকে এই ভবন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে সে এটিকে নাও চিনতে পারে কেননা এই জায়গাটির আঞ্চলিক নাম "রায় বাহাদরু গেট"। এটি একটি জমিদারি দোতলা বাড়ি এবং এর সামনে রয়েছে অনেক সুন্দর বাহারি ফুলের বাগান।
বিখ্যাত হওয়ার কারণ: ১৯১১ সালে পাবনার বিখ্যাত জমিদার বনমালী লাল রায় এটি নির্মাণর্ম করেছিলেন। এটি শত বছর পুরনো একটি জমিদারি বাড়ি। তাই এর ভাজে ভাজে লকিু য়ে আছে বিভিন্ন রহস্য, ভালোবাসা ও কালের বিবর্তন। এর কাঠামো, দরজা ও জানলা দেখলেই বোঝা যায় তৎকালীন জমিদারের শৌখিনতা। এছাড়া সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো এটি যে কোন ঋতুতেই ভ্রমণ করা যায়। এমন কি বর্ষাকালের মত স্যাঁতসেতেঁ বিষন্ন আবহাওয়াতেও তাড়াশ ভবনের দ্বিতীয়তলা থেকে বষ্টিৃ দেখতে ও বষ্টিৃ র শব্দ শুনতে খুবই ভালো লাগে। ফিরে যাওয়া যায় সেই শত বছর পুরনো সময়ে।
যাতায়াত ব্যাবস্থা: পাবনা শহরের কেন্দ্র ইন্দ্রিরা মোড় থেকে হেটেই এখানে আসা যায় অথবা ৫ টাকা অটো ভাড়া দিয়েও আসা যায়।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ
ভৌগলিক অবস্থানঃ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার মাঝে পদ্মা নদীর উপর নির্মিতর্মি ব্রিজটির নাম পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। এই সেতুর নির্মাণকাল র্ম ১৯০৯-১৯১৫। এর দৈর্ঘ্য ১.৮ কিঃমিঃ। পাবনা জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিঃমিঃ দরেূ এটি অবস্থিত।
চিত্র হার্ডিঞ্জ ব্রিজ
বিখ্যাত হওয়ার কারণ: প্রথমত, প্রকৌশল জগতে এ ব্রিজটি অপ্রতিদ্বন্দীভাবে বিখ্যাত এবং ব্রিজের জন্য রিভার ট্রেনিং ব্যবস্থা আছে যা পৃথিবীতে অদ্বিতীয়। দ্বিতীয়ত, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করার জন্য এই ব্রিজ বিখ্যাত। এই ব্রিজের চারপাশে নদীর অববাহিকা ভ্রমণের জন্য অত্যন্ত মনোরম। এটির সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য ছুটির দিনে এবং উৎসবের সময় মানষেু র ভিড় জমে। এখানে গেলে দেশের অন্যতম লালন শাহ সেতু ও দেখা যায় এবং ব্রিজের সৌন্দর্য উপভোগ করার সাথে সাথে বিকেলে গেলে পদ্মা নদীতে সূর্য ডোবার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এছাড়াও নদীর পাড়ে নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা আছে।
যাতায়াত ব্যবস্থা: হার্ডিঞ্জ ব্রিজে আনমা ু নিক এক ঘন্টা সময়ে পাবনা জেলা শহর হতে সড়কপথে দাশুড়িয়া মোড় হয়ে যাওয়া যায়। পাবনা হতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এ যেতে হলে সবোর্চ্চ ভাড়া লাগে ১০০ টাকা। ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন ভৌগোলিক অবস্থান: পাবনা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দরেূ এটি অবস্থিত।
চিত্র:ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন
বিখ্যাত হওয়ার কারণ: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়, প্রাচীন ও ঐতহ্যবাহী রেলওয়ে স্টেশন হলো ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন। ১০০ বছরেও বেশি সময় আগে ব্রিটিশ শাসন আমলে বর্তমান পাবনা ঈশ্বরদী উপজেলায় এটি নির্মিতর্মি হয়। ব্রিটিশ শাসনকাল থেকেই গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশন হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। ১৯১৫ সালে হার্ডিং ব্রীজ চালুহলে উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্তাপিত হয়। বর্তমানে ৪টি গুরুত্বপূর্ন রেলপথ ঈশ্বরদীর সাথে যুক্ত। এগুলো হলো: ঈশ্বরদী- খুলনা ঈশ্বরদী- রাজশাহী ঈশ্বরদী- পার্বতীপুর ঈশ্বরদী- ঢাকা গৌরবময় ট্রেনস্টেশনে অনেক ট্রেন আসে।এসব ট্রেন অন্য স্টেশন এর চেয়ে তুলনামলকূ ভাবে বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করে। কারণ এখান থেকেই ট্রেনের ইঞ্জিন বদল করা হয়।এই বিরতির সময় যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে জংশনটি ঘুরে দেখার সুযোগ পায়।এই জংশন স্টেশনটিতে একসঙ্গে ১৮ টি ট্রেন লাইন দাড়ানোর সুযোগ পায়।
যাতায়াত ব্যাবস্থা: পাবনা শহর থেকে ৬০ টাকা সিএনজি বা অটো ভাড়ায় খুব সহজেই এখানে আনমা ু নিক ৪২ মিনিটের মধ্যে যাওয়া যায়। বাংলাদেশ ইক্ষুগবেষণা ইনস্টিটিউট ভৌগলিক অবস্থান: বাংলাদেশ ইক্ষুগবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় ঈশ্বরদী উপজেলার পাবনা - ঈশ্বরদী মহাসড়ক সংলগ্ন অরণকোলা ও বহরপুর মৌজার ২৩৫ একর জমিতে অবস্থিত।
চিত্র: বাংলাদেশ ইক্ষুগবেষণা ইনস্টিটিউট
ঈশ্বরদী ছাড়াও এর আরো দটিু শাখা রয়েছে যার একটি দিনাজপুর আর অন্যটি ঠাকুরগাঁও এ অবস্থিত। তবে এর মলূ শাখা পাবনার ঈশ্বরদীতেই অবস্থিত। বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট বা বাংলাদেশ ইক্ষুগবেষণা ইনস্টিটিউট একটি স্বায়ত্তশাসিত জাতীয় গবেষণা ইনস্টিটিউট যা আখ এবং অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় উদ্ভিদের গবেষণা পরিচালনা করে। । এখানে ইক্ষুর উপর এবং চিনি,গুড় ও চিবিয়ে খাওয়াসহ ইক্ষুর বহুমখী ু ব্যবহারের উপর গবেষণা হয়। এটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ।
যাতায়াত ব্যাবস্থা: পাবনা থেকে খুব সহজেই ৫০/৬০ টাকা সিএনজি বা অটো ভাড়ায় এখানে যাওয়া সম্ভব। পাকশী রিসোর্ট ভৌগোলিক অবস্থানঃ পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর তীরে মনোমগ্ধু কর প্রাকৃতিক পরিবেশে ৩৩ একর জায়গা জড়েু পাকশী রিসোর্ট গড়ে তোলা হয়েছে।
চিত্র: পাকশী রিসোর্ট
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ পাবনা সদর থেকে দাশুড়িয়া হয়ে এখানে আসতে সময় লাগে প্রায় দেড় ঘন্টা এবং ভাড়া লাগে প্রায় ১১০ টাকা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র 10 ভৌগোলিক অবস্থানঃ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অবস্থিত। বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার এর নির্মাণর্ম প্রকল্প গ্রহণ করেন। এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল নাগাদ এর কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে ।
চিত্র: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
বিখ্যাত হওয়ার কারণ: রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যৎ প্রকল্পের দটিু ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। দেশের ১৮ লাখ পরিবার এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সুবিধা লাভ করবে এবং আড়াই হাজার দক্ষ জনবলের কর্মসং র্ম স্থান সৃষ্টি হবে। এই রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মার্মণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার রসাটমের এএসই নামীয় সংস্থাকে। যার ফলে রুপপুর এখন পরিণত হয়েছে এক টুকরো রাশিয়ায়। নতুনহাটের গ্রিনসিটিতে হাজার হাজার রাশিয়ান নাগরিক বসবাস করছে। এর আশেপাশে রাশিয়ানদের জন্য হোটেল, রেস্তোরাঁ, বার নির্মিতর্মি হয়েছে। এসব রেস্তোরাঁয় বাঙালি খাবারের পাশাপাশি রাশিয়ান খাবার পাওয়া যায়।
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ পাবনা জেলা শহর হতে আনমা ু নিক ১ ঘন্টা সময়ে ৬০ টাকা ভাড়া দিয়ে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাওয়া যায়।
জোড় বাংলা মন্দির
ভৌগোলিক অবস্থান: জোড় বাংলা মন্দির পাবনা জেলার পাবনা সদর উপজেলার দক্ষিণ রাঘবপুরের জোড়বাংলা পাড়ায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। পাবনা শহরের দইু কিলোমিটার উত্তর-পূর্বভাগে অর্থাৎ পাবনা সদর পৌরসভার অন্তর্গতর্গ ৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় অবস্থিত।
চিত্র: জোড় বাংলা মন্দির
দর্শনীয় স্থান হওয়ার কারণ: মন্দিরটির নির্মাণর্ম শৈলী বাংলার অন্যান্য মন্দির স্থাপত্য থেকে ভিন্ন। ইট নির্মিতর্মি একটি অনচ্চু বেদীর উপর মন্দিরের মলূ কাঠামো নির্মাণর্ম করা হয়েছে। মন্দিরটির উপরের পাকা ছাদ বাংলার দোচালা ঘরের চালের অনরূু প। পাশাপাশি দ'ুটি দোচালা ঘরের ছাদকে এক সঙ্গে জোড়া লাগিয়ে মন্দিরের ছাদ নির্মাণর্ম করা হয়েছে। এছাড়াও আরো অনেক আকর্ষনীয় নিদর্শন রয়েছে যা সাধারণ মন্দিরের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং এটি দিনাজপুরের কান্তনগর মন্দির এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
যাতায়াত ব্যবস্থা: দেশের যেকোনো স্থান থেকে পাবনা শহর এসে ২০ থেকে ২৫ টাকা রিকশা ভাড়ায় জোড় বাংলা মন্দির আসা যাবে।
চাটমোহর শাহী মসজিদ
ভৌগোলিক অবস্থান : পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলা হতে আনমা ু নিক ২০০ গজ দরেূ এই মসজিদটি অবস্থিত।
চিত্র:চাটমোহর শাহী মসজিদ দর্শনীয় স্থান হওয়ার কারণ: পাবনার চাটমোহরে ৪৩৯ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে আজও ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই শাহী মসজিদ। এটি সুলতানী মোঘল আমলের নিদর্শন। এই মসজিদের শিলাফলকের ফার্সি লিপি থেকে জানা যায়, এটি বিখ্যাত সুলতান সৈয়দ বংশীয় প্রধান সৈয়দ আবলু ফতে মহা ু ম্মদ মাসুম খাঁনের সময়ে নির্মিতর্মি হয়। মসজিদটিতে তিনটি দরজাবিশিষ্ট প্রবেশপথ এবং প্রধান প্রবেশপথে উঁচুদরজার ওপরে কালো পাথরের মাঝে খোদাই করা 'কালেমা শাহাদাৎ' লেখা আছে। এছাড়াও আরো আকর্ষনীয় কাজ রয়েছে যা অতি প্রাচীন এবং অপূর্ব নিদর্শন।
যাতায়াত ব্যবস্থা: দেশের যেকোনো স্থান থেকে খুব সহজেই ট্রেনে বা বাসে চাটমোহর আসা যাবে। চাটমোহর ট্রেন বা বাস স্টেশন থেকে ১৫ থেকে ২০ টাকা ভাড়ায় অটোরিকশা বা ভ্যানে শাহী মসজিদ আসা যাবে।
চলনবিল
ভৌগোলিক অবস্থান: পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর এই তিনটি জেলার সংযোগস্থলে বিশাল নিম্ন জলাভূমিই চলনবিল। চিত্র: চলনবিল দর্শনীয় স্থান হওয়ার কারণ: চলনবিল মলতঃ ূ মাছ ও দেশি-বিদেশি পাখির জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও বর্ষায় বিলের কূল কিনারাহীন ঢেউ, বিলের আকাশে রাতের তারা, ছয় ঋতুতে বিলের নতুন নতুন সাজ মানষুকে প্রাণবন্ত করে। চলনবিলে সবসময় বেড়ানোর জন্য আকর্ষনীয় হওয়া সত্ত্বেও শরৎকালই শ্রেষ্ঠ সময়।
যাতায়াত ব্যবস্থা: দেশের যেকোনো স্থান থেকে খুব সহজেই বাসে পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গড়া ু , ফরিদপুর ; সিরাজগঞ্জের কাছিকাটা এসে স্বল্প ভাড়ায় ছোট বড় নৌকায়, ব্যাটারিচালিত নৌকায় বিলের রাস্তা ধরে ঘুরে বেড়ানো যাবে।
বীজ উৎপাদন খামার
ভৌগোলিক অবস্থান: পাবনা শহরের টেবনিুয়ায় অবস্থিত উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বড় কৃষি ফার্ম এটি।
চিত্র: বীজ উৎপাদন খামার
দর্শনীয় স্থান হওয়ার কারণ: পাবনা শহরের টেবনিু য়ায় অবস্থিত উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বড় কৃষি ফার্ম।র্ম এই টেবনিু য়া কৃষি ফার্মটির্ম তে অনেক নারকেল গাছ থাকায় স্থানীয়রা একে নারকেল জিজ্জ্বিরাও বলে থাকে। বিশাল একরের জমিতে সরকারীভাবে বিভিন্ন সবজি,ফল, ফুল উন্নত মানের ফল ফলাদি চাষ করা হয়ে থাকে। সব মিলিয়ে এক অসাধরণ জায়গা এটি। রয়েছে বীজ সংগ্রহ করার ঘরবিভিন্ন ফুল বাগান,আম বাগান, গাছপালা, খোলা হাওয়া যা দর্শনার্থীদের সহজেই আকৃষ্ট করে। পাবনা শহর থেকে উত্তর দিকে এটি অবস্থিত।
যাতায়াত ব্যাবস্থা: শহর থেকে স্থানটিতে ৩০ টাকা অটো ভাড়ায় খুব সহজেই যাওয়া যায়।
শ্রী শ্রী অনকূুল চন্দ্রের সৎসঙ্গ
ভৌগলিক অবস্থান: জেলা শহরের পাশে হিমায়েতপুরে অবস্থিত।
চিত্রঃ শ্রী শ্রী অনকূুল চন্দ্রের সৎসঙ্গ
বিখ্যাত হওয়ার কারণ: পাবনা জেলার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে একটি ঠাকুর অনকূু ল চন্দ্রের আশ্রম। এটি শতবর্ষী ঐতিহ্যমন্ডিত ধর্মীয় উপাসনালয় হিসেবে পরিচিত। অনকূু ল চন্দ্র তার পিতামাতার স্মরণে এই মন্দিরটি নির্মাণর্ম করেন। আশ্রমটি মানসিক হাসপাতাল ও পাবনা মেডিকেল কলেজের পাশে হওয়ায় এটি দর্শনার্থী ও ভ্রমণপিপাসুদের সহজেই নজর কাড়ে। বর্গাকর্গ ৃতির ভবনটির শীর্ষদেশ ত্রিভুজাকৃতির কম্বরাসমান ছাদে আচ্ছাদিত। মন্দির এর পাশেই রয়েছে অনকূু ল চন্দ্রের পূজা ঘর । সাদা রং এর পূজা ঘরটি অতিশয় সুন্দর। অনকূু ল চন্দ্র তার সমস্ত সম্পত্তি জনহিতকর কাজের জন্য দান করে গেছেন। সৎসঙ্গটি একটি জনহিতকর সংগঠন। উল্লেখ্য (পাবনা মানসিক হাসপাতাল এর অধিগ্রহণ করা জমির সিংহভাগই অনকূু ল ঠাকুরের)। আশ্রমটির পেছনে রয়েছে একটি পুকুর ঘাট যার চারিপাশে শোভা পাচ্ছে অসংখ্য নারকেল গাছ। আশ্রম ও অতিশয় সুন্দর মন্দিরটি চারপাশে প্রাচীর দেয়া আছে। অনকূু ল ঠাকুরের জন্ম ও মতৃ ্যু পালনে বিশাল অনষ্ঠু ানের আয়োজন করা হয়। যাতে অংশগ্রহণ করে দেশি ও বিদেশি লক্ষাধিক মানষ।ু
যাতায়াত ব্যবস্থা: শহর থেকে আশ্রমটিতে অটো বা রিক্সায় যেতে ভাড়া লাগবে প্রায় ১৫/২০ টাকা।
জমিদার আজিম চৌধুরীর বাড়ি
ভৌগোলিক অবস্থানঃ সুজানগর উপজেলা অন্তর্গতর্গ পূর্ব দিকে দলাই ু বাজারের ৫০০ মি দক্ষিণ দিকে এর অবস্থান। ১২০ বিঘা জমির ওপর এটি প্রতিষ্ঠিত।
চিত্র ঃ আজিম চৌধুরীর জমিদার
বাড়ি বিখ্যাত হওয়ার কারণঃ জমিদার আজিম চৌধুরীর ছিলেন সৌখিন এবং সৌন্দর্যের পূজারী। আজ থেকে ২৫০ বছর আগে দলাই ু ’র মতো নিভৃত পল্লীতে প্রতিষ্ঠা করেন রাজপ্রাসাদতুল্য দ্বিতলবিশিষ্ট একাধিক দষ্টিৃ নন্দন এবং বিলাসবহুল ভবন। ভবনগুলো ছিল বহু কক্ষের। প্রতিটি কক্ষই ছিল বছুদরজা বিশিষ্ট। বাড়িটিতে ছিল ১১টি প্রধান নিরাপত্তা গেট। প্রথম গেটে সর্বদা দণ্ডায়মান থাকতো বিশাল আকৃতির দ’ুটি হাতি ও কামান ছিল।বাড়ির চারপাশ ঘিরে রয়েছে বিশাল নিরাপত্তা দীঘি। এছাড়া বাড়ির অভ্যন্তরে একটি মসজিদ, জমিদার দরবারে কর্মরতর্ম কর্মকর্ম র্তা-কর্মচারী র্ম দের গোসলের জন্য একটি বিশাল পুকুর এবং জমিদার পরিবারের বিবিদের গোসলের জন্য অন্দরমহলের অভ্যন্তরে খনন করা হয়েছিল আরও একটি দর্শনীয় পুকুর। এছড়াও ঐ বাড়িতে ছিল কাছারি ঘর, পাতিশাল-ঘোড়াশাল। সেইসাথে বাড়িটি ছিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে জমিদার বাড়িটি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত।
যাতায়াত ব্যবস্থা: ভ্যান/রিক্সা যোগে যাওয়া যায়, যাতায়াত খরচ ৪০ টাকা। পদ্মা নদী ভৌগোলিক অবস্থানঃ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা জড়েু পদ্মা নদীর অবস্থান আর পাবনায় পদ্মা নদীর যে অংশটুকু আছে তা মলতূ সুজানগরে অবস্থিত। স্থানাঙ্ক ২৩.৫৫° উত্তর ৮৯.২৬° পূর্ব। দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ৩১ 17 বর্গকির্গ লোমিটার গড় গভীরতা ১০-২০ ফুট।
পদ্মা নদী
পদ্মা ১২০ কিমি দীর্ঘ এবং ৪ থেকে ৮ কিমি প্রশস্ত। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গোয়ালন্দ-চাঁদপুর স্টিমার চলাচল পথের অধিকাংশই এই নদী জড়েু ।
চিত্রঃ পদ্মা নদী
পদ্মা নদী পদ্মা নদীর গুরুত্ব : গঙ্গা-পদ্মা হল প্রধান জলশক্তি প্রণালী পৃথিবীর বহৃ ত্তম বদ্বীপ ভূমি গড়ে তুলেছে যা দেশের একটি বিরাট অংশ এবং ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বহৃ ত্তর একটি অংশ অধিকার করে আছে। গাঙ্গেয় বদ্বীপের উন্নয়নের দীর্ঘ ইতিহাসে, নদীটি দক্ষিণপূর্ব দিকে সরে এসেছিল এবং বঙ্গের নিম্নভূমির বর্তমান অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অংশে গঙ্গা বদ্বীপের জলবিদ্যা এবং নিষ্কাশন প্রণালী প্রমত্তা গঙ্গা এবং বঙ্গ অববাহিকার নদীজ জল সংস্থান ব্যবস্থার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।নদীটির বদ্বীপ অংশে প্রশস্ততার পরিসীমা ১.৬ থেকে ৮ কিমি এবং মাঝেমাঝে এর বিননী ু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় যদিও এটি একটি আঁকাবাঁকা নদীখাত। পদ্মা নদী মলতূ গঙ্গার নিম্ন স্রোতধারার নাম, আরও নির্দিষ্টভাবে বলা যায় গোয়ালন্দ ঘাটে গঙ্গা ও যমনার ু সঙ্গম স্থলের পরবর্তী মিলিত প্রবাহই পদ্মা নামে অভিহিত।
যাতায়াত ব্যবস্থা: পাবনা শহর থেকে প্রায় ৮০ টাকা বাস ভাড়ায় এখানে যাওয়া যায়।
গাজনার বিল
ভৌগোলিক অবস্থান: গাজনার বিল মলতূ সুজানগরে অবস্থিত। স্থানাঙ্ক ২৩.৫৫° উত্তর ৮৯.২৬° পূর্ব। দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ৩১ বর্গকির্গ লোমিটারের, গড় গভীরতা ১০-২০ ফুট।
চিত্র: গাজনার বিল
গাজনার বিল বা বিল গাজনা পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার বহৃ ত্তম বিল হচ্ছে। বিলটি ১৬ টি ছোট-বড় বিলের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে। এটি সুজানগর উপজেলার প্রায় মাঝখানে অবস্থিত। পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেকাংশ এই বিলের উপর নির্ভর করে। সুজানগর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের সাথেই বিলটি সংযুক্ত রয়েছে। গাজনার বিলের পানির প্রধান উৎস যমনা ু নদী, পদ্মা নদী ও চলন বিল। গাজনার বিল ও পদ্মা নদীর সংযোগ কেন্দ্র হিসেবে রয়েছে "বাদাই সুইচ গেইট " নামে একটি সুইচ গেইট রয়েছে! বিখ্যাত হওয়ার কারণ: এই বিলের সৌন্দর্যে মগ্ধু হয়ে প্রতি বছর বহু পর্যটক ভ্রমণ করে থাকে। গাজনার বিলের মধ্যে খয়রান ব্রিজ নামক স্থানে বহু মানষেু র সমাগম ঘটে থাকে। বিশেষ করে ঈদ ও বিশেষ ছুটির দিনে এখানে পর্যটকের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে।
যাতায়াত ব্যবস্থা: সুজানগর উপজেলা থেকে সিএনজি যোগে প্রায় ৭ কি.মি পথ অতিক্রম করে ৩০ টাকা খরচে গাজনার বিলে যাওয়া যায়। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভৌগলিক অবস্থানঃ পাবনা শহরের ৫ কিলোমিটার পূর্ব দিকে রাজাপুর নামক স্থানে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে ৩০ একর জমির উপর স্থাপিত হয়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি।
চিত্র: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি রাজশাহী বিভাগের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৩য় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর এই বিশ্ববিদ্যালয়টি উচ্চ শিক্ষায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে । বিশ্ববিদ্যালয়টির আনষ্ঠু ানিক যাত্রা শুরু হয় ৫ জনু ২০০৮ সালে। একটি লাইব্রেরি, পাঁচটি আধুনিক গবেষণাগার, ক্যাফেটেরিয়া, স্বাধীনতা স্তম্ভ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার,পরিবহন ব্যবস্থা, একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন,জাতির জনক বঙ্গবন্ধুশেখ মজিু বরু রহমান এর ম্যুরাল, মক্তু মঞ্ছ রয়েছে। এছাড়াও চার তলা বিশিষ্ট অডিটরিয়াম, বারো তলা বিশিষ্ট দটিু একাডেমিক ভবন, দশ তলা বিশিষ্ট দটিু হল এবং টিএসসি ভবন নির্মার্মনের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও নির্মাণাধীন র্ম রয়েছে বিশাল আকারের একটি লেক। লেকের চারিপাশে ভিন্ন রকমারী ফুলের গাছ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে। সারাবছর হাজারো শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাতিয়ে থাকে পাবিপ্রবির ক্যাম্পাস। এছাড়াও প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক উৎসব বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনষ্ঠু ানের আয়োজন করা হয়। এসময়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য অতিথিদের আকর্ষণ করে।
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ পাবিপ্রবির নিজস্ব সাদা খয়েরী প্রায় ৮টি পাবলিক বাস রয়েছে। যদিও পাবলিক বাসগুলো শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ পাশাপাশি শহর থেকে কম দরুত্ব হওয়ায় বাস, অটো,রিকশা যেকোনো গাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়া সম্ভব। শহর থেকে যাতায়াত খরচ প্রায় ৩০ টাকার মতো হয়ে থাকে।
পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ
চিত্র: পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ
ইছামতী নদীর তীর ঘেষে সবজেু র সমারোহে ঘেরা পাবনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি বিদ্যাপিঠ সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ। ৪৯ একর জায়গা জড়েু ১৮৯৮ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭ বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স ও ডিগ্রি পাস কোর্সে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষার্থী এখানে লেখাপড়া করছে। সারা বাংলাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর মধ্যে ২য় স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করেছে। নির্দিষ্ট পাঠ্যসূচির পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবামলকূ কার্যক্রম হিসাবে কলেজে রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, যুব রেড ক্রিসেন্ট, গার্লস গাইড ও বন্ধন ইউনিট রয়েছে। দেশের যেকোনো স্থান থেকে খুব সহজেই বাসে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ আসা যাবে।
পাবনা মেডিকেল কলেজ
চিত্র: পাবনা মেডিকেল কলেজ
২০০৮ সালে পাবনা মানসিক হাসপাতালের পাশে প্রতিষ্ঠা করা হয় পাবনা মেডিকেল কলেজ ।পাবনা জেলা শহরের হেমায়েতপুর এলাকার কাশিপুর হাটের অদরেূ পাবনা মানসিক হাসপাতালের পাশেই পাবনা মেডিকেল কলেজটি অবস্থিত।পাবনা মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় একটি সরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়। এটি ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্স পরিচালনা করে থাকে। এছাড়াও এখানে চিকিৎসাবিদ্যা সংক্রান্ত নানা ধরণের গবেষণা করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নতুন মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা অনযা ু য়ী ২২-০৯-২০০৮ ইং তারিখে পাবনা মানসিক হাসপাতালের পেছনে অডিটরিয়াম এবং সংলগ্ন আরেকটি কক্ষে প্রশাসনিকভাবে পাবনা মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৮-১১-২০০৮ তারিখে প্রথম ব্যাচ ভর্তি হওয়ার পর একই স্থানে তাদের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। বক্ষৃ শোভিত ছায়াঘেরা স্থানটি ছাত্রছাত্রীদের কাছে "পুরাতন ক্যাম্পাস" নামে পরিচিত। ছেলেদের জন্য একাডেমিক ভবন থেকে অদরেূ একটি ছাত্রাবাস রয়েছে যা ২ তলা বিশিষ্ট। এই ছাত্রাবাসটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিু বরু রহমানের নামানসা ু রে "বঙ্গবন্ধু ছাত্রাবাস" নামকরণ করা হয়েছে। মেয়েদের জন্য একাডেমিক ভবন এর অপর পাশে একটি ছাত্রী নিবাস রয়েছে যা ৩ তলা বিশিষ্ট। ইন্টার্ন ডাক্তারদের জন্য রয়েছে পাবনা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন ৪টি ভবন যার মধ্যে ৩টি ভবন তিনতলা বিশিষ্ট ও একটি ভবন একতলা বিশিষ্ট। একতলা বিশিষ্ট ভবনটি মলতূ হাসপাতাল পরিচালকের ভবন হলেও, বর্তমানে তা ইন্টার্ন ডাক্তারদের নিবাস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পাবনা শহরের মলূ কেন্দ্র থেকে ১৫ টাকা অটো ভাড়ায় খুব সহজেই এই পাবনা মেডিকেল কলেজে যাওয়া যায়।
চিত্র: পাবনা টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজ
পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বাংলাদেশের পাবনা জেলায় অবস্থিত একটি স্নাতক পর্যায়ের সরকারি প্রকৌশল কলেজ।ব্রিটিশ ভারতের টেক্সটাইল প্রকৌশলীর চাহিদা মেটাতে ১৯১৫ সালে পাবনা সরকারি বননু স্কুল নামে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৬ সালের ২৫ জানয়ুারি বাংলার তৎকালীন ব্রিটিশ গভর্নর প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করেন। ১৯৮০ সালে ২বছর মেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স চালুকরা হয়। তখন এর নাম হয়, পাবনা জেলা টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট। সময়ের চাহিদা মেটাতে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে ৩বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালুহয়। ২০০৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ৪বছর মেয়াদি বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালরু. নির্দেশ দেন। তখন এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ছিল এবং নামকরণ করা হয় পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। কলেজটি বর্তমানে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই কলেজটিতে ৫টি বিষয়ে চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছে। এখানে ছাত্র ছাত্রদের পড়াশুনার জন্যে উন্নত মানের শিক্ষক রয়েছে। এছাড়া শিক্ষার ক্ষেত্রে যেন কোন ঘাটতি না থাকে সেজন্যে রয়েছে সুনামধন্য গেষ্ট টিচার। ল্যাব ফ্যাসিলিটি অনেক উন্নত মানের। বলা যায় প্রয়োজনের তুলনায়ও অনেক উন্নত মানের। যার জন্যে একজন শিক্ষার্থী পড়াশুনার মাঝে আনন্দ খুজে পায়। তাছাড়া গবেষণার জন্যেও এটা একটা অতন্ত্য সহায়ক। কম্পিউটার ল্যাব ছাড়াও গবেষণার জন্যে নেট ল্যাব রয়েছে। এছাড়া রয়েছে শিক্ষার জন্যে সুন্দর নির্মলর্ম পরিবেশ। সুন্দর ক্যাম্পাস। যেটা যে কাউকে আকৃষ্ট করবে। সুবিশাল বইয়ের বিশাল সমাহর বিশিষ্ট লাইব্রেরি। যেখানে দেশি বিদেশি অনেক আন্তর্জাতিক মানের বই পড়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। পাবনা শহরের মলূ কেন্দ্র থেকে ১০ টাকা অটো ভাড়ায় খুব সহজেই এই প্রতিষ্ঠানে যাওয়া যায়।
ঈশ্বরদী ইপিজেড
ঈশ্বরদী ইপিজেড ভৌগোলিক অবস্থানঃ এই ইপিজেডটি ঢাকা শহর থেকে ২২০ কিলোমিটার দরেূ পাবনা জেলার পাকশী এলাকার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত। এটি ঈশ্বরদী বিমানবন্দর থেকে ১০.৬০ কিলোমিটার দরেূ অবস্থিত।
চিত্রঃ ঈশ্বরদী ইপিজেড
বিখ্যাত হওয়ার কারনঃ পাবনা ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সংক্ষেপে যেটি 'ঈশ্বরদী ইপিজেড', বা, 'পাবনা ইপিজেড' নামেও পরিচিত) বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের শহর পাবনার অদরেূ ঈশ্বরদী এলাকায় অবস্থিত। এই রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলটি ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত হয়। ৩০৯ একর এলাকার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই ইপিজেডটি বাংলাদেশের ৩য় বহৃ ত্তম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: পাবনা টারমিনাল থেকে যাতায়াত ভাড়া প্রায় ৫০ টাকা লাগে।
রত্নদ্বীপ ও রূপকথা ইকো রিসোর্ট
ভৌগলিক অবস্থানঃ পাবনা শহরে প্রবেশ করতেই পাবনা ক্যাডেট কলেজ ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে জালালপুরে গড়ে উঠেছে রত্নদ্বীপ রিসোর্ট। রিসোর্টে প্রবেশ করলেই এক মনোমগুদ্ধকর পরিবেশ দেখা যাবে।
ভৌগলিক অবস্থানঃ বিশাল বিস্তৃত অপরুপ প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্য নিয়ে গড়ে উঠেছে রুপকথা ইকো রিসোর্ট। পাবনা জেলার পশ্চিম রামচন্দ্রপুর (বাংলা বাজার) এলাকায় প্রায় ৫০ বিঘা জায়গার উপরে করা হয়েছে রুপকথা ইকো রিসোর্ট।
চিত্র: রূপকথা ইকো রিসোর্ট
রত্নদ্বীপ রিসোর্ট
রত্নদ্বীপ, নাম শুনে মনে হতে পারে রত্নে ভরপুর কোন দ্বীপ, যেখানে চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে মণি, মক্তু া আর জহর। তবে রত্নদ্বীপে মণি, মক্তু া আর জহর না থাকলেও রয়েছে চোখ জড়া ু নো সৌন্দর্য। যা ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে মণি, মক্তু া আর জহরের মত দামি। আর শহরের অপর পাশেই গড়ে উঠেছে রূপকথা ইকো রিসোর্ট। যা রূপকথার গল্পের মতই মনমগ্ধু কর। আকর্ষণ হিসেবে
রত্নদ্বীপ রিসোর্টঃ অতিথি আসা মাত্র তাকে ফুল দিয়ে বরণ করার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। অত্যাধুনিক বিলাসবহুল এই রিসোর্টে রয়েছে সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা। আছে সুন্দর এক সুইমিং পুল, জিম ,স্পা। পরিবার, কাপল অথবা হানিমনেু র জন্য আদর্শ হতে পারে রত্নদ্বীপ রিসোর্ট। এছাড়াও রয়েছে বিশাল আকৃতির কনফারেন্স রুম, সুবিশাল মঞ্চ যেখানে কর্পোরেট মিটিং থেকে শুরু করে সব ধরণের সাংস্কৃতিক অনষ্ঠু ান করা যায়। এজন্যই মলতু টুরিস্ট আকর্ষন এই রত্নদ্বীপ রিসোর্ট। আকর্ষণ হিসেবে রুপকথা ইকো রিসোর্টেঃ চারিদিকে সবজেু র সমাহারে সজ্জিত এই রিসোর্টটি একটি অন্যতম টুরিস্ট আকর্ষন। রিসোর্টে রয়েছে বিশাল আকৃতির পুকুর যেখানে অতিথিগণ ফিশিং করতে পারবেন এবং নৌকায় ঘুরতে পারবেন। রয়েছে দষ্টিৃ নন্দিত এক মঞ্চ যেখানে মোঘলীয় আসনে বসে গান শুনতে পারবেন। প্রত্যেকটি কটেজের নামকরণ করা হয়েছে সুচিত্রা সেনের সিনেমা এবং গানের নাম দিয়ে। বলতে গেলে অবসর কাটানোর সকল ধরণের আয়োজন নিয়েই রূপকথা ইকো রিসোর্ট।
রিসোর্টে যাওয়ার উপায়ঃ পাবনা শহর থেকে অটো বা যেকোনো যানবাহনে আনমা ু নিক ২০ টাকা ভাড়ায় রিসোর্টে যাওয়া সম্ভব। পাবনা রানা ইকো পার্ক ভৌগলিক অবস্থান: পাবনা শহরের প্রাণ কেন্দ্র এবং পাবনা বাস টার্মিনাল র্মি থেকে ২ কিলোমিটার পথ পেরোলেই হাজীরহাটের ও অনন্ত সিনেমা হলের পাশ দিয়ে রাস্তায় যেতে হবে এই বিনোদন পার্কে ।
রানা ইকো পার্ক
চিত্র: পাবনা রানা ইকো পার্ক বিনোদোনকেন্দ্রিক গুরুত্বঃ প্রতিদিন দরূ দরা ূ ন্তের হাজার হাজার মানষেু র অন্যতম বিনোদনের জায়গা হয়ে উঠেছে রানা ইকো বিনোদন পার্ক ও পিকনিক স্পট। পার্কটিতে রয়েছে দষ্টিৃ নন্দিত নজর কাড়া সব প্রাণীদের ভাস্কর্য । আছে বিশাল আকৃতির ডাইনোসর, ইগল,জীরাফ মাছরাঙা, বাঘ, হরিণ, উঠপাখী, কুমির সাপ, বকপাখী ও স্পাইডার ম্যান। ৫২ ফুট উচ্চতার বিশাল নাগরদোলা, ড্রাগন রাইড, টলটল ঘোড়া চরকি, ও ঝকঝক শব্দের ট্রেন। 27 এখানে শিশুদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় সব রাইড ম্যাজিক বোড, ওয়াটার বোড, থী ডি ঘড়। ওয়াটার কার, ওয়াটার বল সহ আকর্শনীয় সব রাইড। মক্তু বাতাস নির্মলর্ম অক্সিজেনে পরিপূর্ণ অসাধারণ এক পরিবেশ। শানবাঁধানো ঘাট থেকে ছেড়ে যায় বড় ট্রলার বোড। এছাড়া দেশের অন্যতম সব আর্কনীয় রাইটগুলা পার্কে সংযুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে এবং আরো জায়গা জড়েু তা বিস্তৃত হবে বলে জানা যায়। পার্কের ভেতরে আছে মনোরম পরিবেশে দেশী বিদেশি উন্নত মানের খাবার রেস্টুরেন্টে, চাইনিজ খাবার ফাস্টফুট থেকে শুরু করে দেশী সব মজাদার খাবার। পার্কটিতে রয়েছে বিশাল জায়গা জরেু পিকনিক স্পট, ফুলের বাগান ও অত্যাধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা। পার্কটিতে এখনো পুরোটা নির্মাণর্ম কাজ শেষ হয়নি। কিন্তু দর্শনার্থীদের অনরু োধ আপাতত সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী নভেম্বরে পার্কটি সম্পূর্ণভা র্ণ বে চালুহওয়ার কথা রয়েছে বলে জানায় কতৃপক্ষ। পার্কটির পেছনেই আছে শান্ত মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের সুনিবিড় ছায়া ঘেড়া তুষার গেস্ট হাউস। গ্রামীণ পরিবেশ ফুলের বাগানের সৌন্দর্য,কক্ষ গুলাতে অত্যাধুনিক আসবাব মনোমগ্ধু কর বেলকনি। পাবনাবাসীর প্রাণের বিনোদন পার্ক হয়ে উঠেছে রানা ইকো বিনোদন পার্ক ও পিকনিক স্পট। প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের ভীরে মখুরিত হচ্ছে গোধূলি বেলা।
যাতায়াত ব্যবস্থা: পাবনা শহর থেকে ২০ টাকা রিক্সা বা অটো ভাড়ায় খুব সহজেই এখানে যাওয়া যায়।
পাবনা রাসেল পার্ক
পাবনা রাসেল পার্ক ভৌগলিক অবস্থান: পাবনা শহরের প্রানকেন্দ্রে মক্তিু যুদ্ধের চেতনাবিজরিত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে যে পার্কটি অবস্থিত সেটাই রাসেল পার্ক হিসেবে পরিচিত। চিত্র: রাসেল পার্ক বিনোদনকেন্দ্রিক গুরুত্ব: রাসেল পার্কের ভিতরে একটা স্মৃতি স্তম্ভ আছে, যেখানে প্রতি বছর ২৬ মার্চ অর্থাৎ আমাদের স্বাধীনতা দিবসে শত শত মানষু ফুল দিতে আসে। এই পার্কের পেছনে আছে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। আর এর সামনে পাবনা পৌরসভা এবং জেলা পরিষদ অবস্থিত। এছাড়াও একপাশে পাবনার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ অবস্থিত। পাবনা শেখ রাসেল পার্ক সরকারের বিশেষ একটা অবদান যেটা বর্তমান বাচ্চাদের শেখার জন্য ভালো একটি জায়গা পাবনাতে যে সকল মক্তিু যোদ্ধা ছিলেন তাদের সবার নাম এখানে উল্লেখ করা আছে। পাবনা শহর থেকে ১০ টাকা অটো ভাড়ায় এই পার্কে যাওয়া যায়।
স্বপ্নদীপ রিসোর্ট
চলমান ঈশ্বরদীর উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়েছে সদ্য প্রতিষ্ঠিত ‘স্বপ্নদ্বীপ’ রিসোর্ট। ‘স্বপ্নদ্বীপ’ রিসোর্ট দষ্টিৃ নন্দনের সাথে সাথে অর্থনীতির অগ্রযাত্রার পাশাপশি ঈশ্বরদী এলাকাকে সমদ্ধৃ করতে সক্ষম হয়েছে। পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় নির্মাণর্ম হচ্ছে দেশের সর্ববহৎৃ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।
চিত্র: স্বপ্নদীপ রিসোর্ট
বর্ননাঃ আধুনিক মানের স্বপ্নদ্বীপ রিসোর্টে রয়েছে সুইমিং পুল, বেশ কিছুরাইডস। বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমন্নুত করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে সাজানো হয়েছে রিসোর্টের পরিবেশ। যেখানেই দষ্টিৃ যায়, সেখানেই চোখে পড়ে সুনিপুণ ও রুচিসম্মত শৈল্পিক কারুকাজ। রিসোর্টে থাকার ব্যবস্থার পাশাপশি এখানে রয়েছে দেশী ও বিদেশীদের উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা। রূপপুর পারমাণবিকের এবং ইপিজেডের বিদেশীদের পদচারণায় মখূরিত থাকে রিসোর্ট। সুইমিং পুলে সাঁতার কাটা থেকে অবসর সময় কাটানো এবং খাওয়া-দাওয়ায় ব্যস্ত থাকেন বিদেশীরা। 30 বিদেশীরা ঝাঁকে ঝাঁকে এসে সময় কাটিয়ে নতুন উদ্যম নিয়ে আবার কাজে চলে যাচ্ছেন। স্থানীয়রাও সময় পেলে ছেলেমেয়েদের নিয়ে ভীড় জমাচ্ছেন স্বপ্নদ্বীপে। তাই স্বপ্নদ্বীপ রিসোর্ট ঈশ্বরদীর অর্থনীতি গতিকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়েছে।
যাতায়াত ব্যবস্থা: পাবনা শহর থেকে ইশ্বরদী গামী যেকোন সিনএজি তে বা বাসে যে কেউ চাইলে অল্প সময়ের মধ্যেই যেতে পারে। এতে তার মোটামটিু ৭০/৮০ টাকা খরচ হবে।
ইছামতী নদী
ইছামতী নদী বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাবনা জেলার একটি নদী। এটি পাবনা জেলার পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নে প্রবাহমান পদ্মা নদী হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। এর দৈর্ঘ্য ৪৪ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১২০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। পাবনার আত্রাই নদী এর একমাত্র শাখা নদী। মৌসুমি প্রকৃতির এই নদীতে সারাবছর পানিপ্রবাহ থাকে না। শুকনো মৌসুমে নদীটি পুরোপুরি শুকিয়ে যায় আর বর্ষাকালে নদীটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির প্রবাহ বদ্ধিৃ পায়। যেকোনো স্থান থেকে খুব সহজেই পাবনা এসে ইছামতী নদী দেখা যাবে।
মোঃসাহাবুদ্দিন
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন (জন্ম: ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৯)[১] হলেন বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি ২৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ থেকে দায়িত্বাধীন আছেন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পূর্বে তিনি জেলা ও দায়রা জজ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ছিলেন।
মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাঙ্কপাড়ায় (শিবরামপুর) জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শরফুদ্দিন আনছারী ও মা খায়রুন্নেসা। তিনি পাবনা শহরের পূর্বতন গান্ধী বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করে রাধানগর মজুমদার একাডেমিতে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন।
১৯৬৬ সালে এসএসসি পাস করার পর পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে (১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত) বিএসসি পাস করেন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সাহাবুদ্দিন মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। পরে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
দেশ স্বাধীন হলে পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হিসেবে সাহাবুদ্দিন আইন পেশায় যোগ দেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে সাহাবুদ্দিন চ্পুপুকে সামরিক আইনে গ্রেপ্তার করে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। কারাভোগের পর মুক্ত হলে তিনি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন সাহাবুদ্দিন। তিনি ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে পরপর দুইবার বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়েরের পর এ মামলায় আইন মন্ত্রণালয় থেকে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োজিত থেকে দায়িত্ব পালন করেন সাহাবুদ্দিন।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা হয়। যাতে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওসব ঘটনার তদন্তে কমিশন গঠন করা হয়, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেয়া সাহাবুদ্দিন ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এখানে দায়িত্বে থাকাকালে বিশ্বব্যাংকের কথিত পদ্মাসেতু সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করেন সাহাবুদ্দিন চ্পুপু, তিনি অভিযোগটি মিথ্যা ও অন্তঃসারশূন্য প্রমাণে সমর্থ হন। তার পাঠানো তদন্ত প্রতিবেদন কানাডার আদালতে সমর্থিত হয়।
সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলনের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদেরও সদস্য তিনি।
আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের অন্যতম কাণ্ডারি হিসেবে পরিচিত সাহাবুদ্দিন পাবনা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতিও। পেশাগত জীবনের প্রথম দিকে সাংবাদিকতাও করেছেন। তিনি পাবনা প্রেস ক্লাব ও অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির জীবন-সদস্য।
১৯৭২ সালের ১৬ নভেম্বর পাবনা শহরের দিলালপুরের আলী আকতারের জ্যেষ্ঠ কন্যা ড. রেবেকা সুলতানার সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ড. রেবেকা সুলতানা বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিয়ে যুগ্ম-সচিব হিসেবে ২০০৯ সালে অবসরে যান। তিনি বর্তমানে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্চ প্রোগ্রাম বিভাগের অধ্যাপক এবং ফ্রেন্ডস ফর চিলড্রেন অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
সাহাবুদ্দিন-রেবেকা দম্পতির একমাত্র সন্তান মো. আরশাদ আদনান (রনি) দেশে ও বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকে উচ্চপদে কর্মরত।
চঞ্চল চৌধুরী
বাংলাদেশের পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বিখ্যাত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তিনি একজন অভিনেতা, মডেল, শিক্ষক ও গায়ক। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে দইবার ু জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং সেরা অভিনেতা বিভাগে একটি মেরিল-প্রথম আলো দর্শক জরিপ পুরস্কার ও দটিু সমালোচক পুরস্কার লাভ করেন। তার উল্লেখযোগ্য কিছুকর্ম:র্ম মনপুরা, আয়নাবাজি, দেবী।
বন্দে আলী মিয়া
বিখ্যাত কবি বন্দে আলী মিয়া পাবনা জেলার রাধানগরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর। তিনি পাবনা জেলা স্কুলে পড়াশোনা করেন। তিনি একাধারে ব্রিটিশ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করেন এবং বাংলা একাডেমি, একুশে পদক পুরস্কার পান। তার উল্লেখযোগ্য কিছুকর্ম: র্ম ময়নামতির চর, অরণ্য, চোর জামাই ইত্যাদি।
সুচিত্রা সেন
বিখ্যাত অভিনেতা সুচিত্রা সেন বাংলাদেশের পাবনা জেলার পাবনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ছিলেন। তার জন্মগত নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। বাংলা চলচিত্রে উত্তম কুমারের বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি পদ্মশ্রী ও বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার পান। তার উল্লেখযোগ্য কিছুকর্ম: র্ম সাত পাকে বাঁধা, সপ্তপদী, শাপমোচন, হারানো সুর, দ্বীপ জ্বেলে যাই।
প্রমথ চৌধুরী
প্রমথ চৌধুরী (৭ আগস্ট ১৮৬৮ - ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬) বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও ছোটগল্পকার। তিনি বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক হিসেবে প্রসিদ্ধ। তার পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশের পাবনা জেলার অন্তর্গতর্গ চাটমোহর উপজেলার হরিপুর গ্রামে। তার সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিলো "বীরবল"। তিনি "সবজপু ত্র" ও "বিশ্বভারতী" পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ১৯৪১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে "জগত্তারিণী" পদক পান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল
বীর মক্তিু যোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল (১৯৫০-২০০০) বাংলাদেশী রাজনৈতিক। মক্তিু যুদ্ধে বহৃ ত্তর পাবনা জেলার মজিু ব বাহিনী ও মক্তিু বাহিনীর প্রধান। তিনি পাবনা ৫ ( পাবনা সদর উপজেলা) আসন থেকে আওয়ামীলীগের থেকে একবার (১৯৮৬) বিএনপির হয়ে দইবার ু ( ফেব্রুয়ারিতে ১৯৯৬ ও জনু ১৯৯৬) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পাবনার ইতিহাসে তিনি উজ্জ্বল নক্ষত্র ও সিংহ পুরুষ। তিনি পাবনায় বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তলনকারী ও মক্তিু যুদ্ধকালীন বহৃ ত্তর পাবনা জেলার মজিু ব ও মক্তিু বাহিনীর প্রধান। তার স্মরণে পাবনায় " স্বাধীনতা চত্ত্বর " স্থাপন করা হয়।
মেজর জেনারেল ফসিউর রহমান
সেনাবাহিনীর গৌরবউজ্জল " এসজিপি " পদকে ভূষিত পাবনার চাটমোহর উপজেলার চরপাড়া গ্রামের কৃতিসন্তান মেজর জেনারেল ফসিউর রহমান, এনডিসি, পিএইচডি। পাবনার এই কৃতি সন্তান ১৯৮৫ সালে ক্যাপ্টেন পদে যোগদান করেন এবং এরপর তিনি সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর, মেডিকেল ইউনিট, সিএমএইচ, বাংলাদেশ রাইফেলস ও পাবনা ক্যাডেট কলেজে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে মোজাম্বিক, সিয়েরালিওন এবং লাইবেরিয়ায় দায়িত্ব পালন করেন। ১৪ ই অক্টোবর ২০২০ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের " জাতীয় শুদ্ধাচার ২০২০ " এ ভূষিত হন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদফতরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে গত ৩১ জলাই ু ২০২০ তারিখে পিআরএল (অবসরকালীন ছুটিতে) যায়। 37 তাই যারা পাবনা বলতে একমাত্র পাগলাগারদ বা মেন্টাল হাসপাতালকেই বঝেু তাদের জন্য দঃখু প্রকাশ ছাড়া কিছুকরার নেই। পাবনা মানসিক হাসপাতাল দেশের ও দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র যা পাবনা জেলাকে প্রমাণ করে দেয় এই জেলার মানষু কতটাসহানভুূতিশীলতা
দেখাতে পারে। এছাড়াও পাবনায় বিদ্যমান অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, দর্শনীয় স্থান পাবনা শহর কে করেছে আরও উন্নত ও বৈচিত্রপূর্ণ।র্ণ
The End
#পাবনাজেলারইতিহাস #HistoryofPabnaDistrict #Pabna #পাবনা #ইতিহাস #History#famouspersonofpabnadistrict#Historyofpabnadistrictessay#পাবনাজেলারদর্শণীয়স্থান
No comments
Do leave your comments